সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীলংকার সঙ্গে তুলনায় কী বোঝানো হলো

  কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলন এবং তা থেকে যে গণ–আন্দোলন তৈরি হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বাংলাদেশ অনেকটাই বদলে গেছে। কোটার রাজনৈতিক অপব্যবহারের মধ্যে যে বৈষম্য তা ছাত্র–তরুণদের মধ্যে ন্যায়–অন্যায়ের বোধকে জাগিয়ে দিয়েছে, অধিকারের প্রশ্নে সচেতন করে তুলেছে এবং তাদের সাহস উসকে দিয়েছে। গত দেড় দশকে গণতন্ত্রের ক্ষয়সাধন ও কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা জোরদার হতে থাকায় এসব ভাবনা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। রাষ্ট্রীয় সুবিধার বংশগত বিস্তৃতির বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে যে ব্যপক অংশগ্রহণ ও সমর্থন দেখা গেল, তা দেশের রাজনৈতিক আবহেও বড় রকমের প্রভাব ফেলেছে। তবে যা বদলায়নি, তা হলো সরকারের আন্দোলনের সবকিছুর জন্য বিরোধীদলকে দায়ী করা এবং তাদের আরও এক দফা জেলে পোরা ও মামলা দিয়ে নাজেহাল করার কৌশল অনুসরণ। এবারও একই কৌশল অনুসৃত হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারি অভিযানে যেসব কথিত ব্লক রেইড হচ্ছে, তাতে সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী আটক করা হচ্ছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এবং সরকারবিরোধী রাজনীতিকদের।  অতিব্যবহারে অবশ্য এ কৌশল যে আর কাজ করছে না, তার আলামত বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও এ কথা লেখা হচ্ছে। ৩০ জু

এত সব মৃত্যু বাংলায় কবে কে দেখেছে

এর আগের লেখায় আমি একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন কেন এবং কীভাবে রাজনৈতিক রুপ পেল, তা নিয়ে যখন লিখেছিলাম, তখন কল্পনাও করিনিলেখাটি ছাপার আগেই নিহতের সংখ্যা এক লাফে ২৭ হয়ে যাবে। বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল রংপুরের যে আবু সাঈদ, তাঁর খুন হওয়ার দিনে দেশের আরও দুটি জায়গা মিলিয়ে মোট ৬ জন নিহত হওয়ায় আমি লিখেছিলাম, দেশে কোনো ছাত্র আন্দোলনে একদিনে এতজনের প্রাণহানির রেকর্ড আর নেই। লেখাটা ছাপা হয়ে পাঠকের হাতে পৌঁছানোর আগেই ১৮ জুলাই ২৭ জনের প্রাণহানির খবর অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। তারপর তা আরও কয়েকগুণ বেড়ে, বেসরকারি হিসাব ২০০ ছাড়িয়েছে, যে সংখ্যা আমাদের উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশ অবসানের পর আর কোনো আন্দোলন দমনে ঘটেনি। একটু খোঁজ–খবর করে দেখলাম, শ্রীলঙ্কায় সরকার পতনের গণ–অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা ছিল ১০। বেলারুশে স্বৈরশাসক লুকাশেঙ্কো গণবিক্ষোভ দমনে যে শক্তিপ্রয়োগ করেছিল, তাতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৬। পাকিস্তানে শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের আন্দোলনেও নিহতের সংখ্যা ডজনখানেকের বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি রক্তপাতের রেকর্ডটি হচ্ছে মিশরের ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের। ২০১১ সালের

As Bangladesh boils over, Sheikh Hasina’s peril is of her own making

During a press conference on 14 July, Sheikh Hasina, the prime minister of Bangladesh, was asked about the peaceful protests that had been on across the country’s university campuses for a week, with students demanding an end to a quota system for government jobs. “Why are they opposing the freedom fighter quota?” she asked in response. “Do they want the descendants of the Razakars to get all the facilities?” Hasina was trying to discredit the protesters, but instead her use of the term “razakars” offended students and further fuelled their protests. Razakar is a pejorative used for people who collaborated with the Pakistan army during Bangladesh’s war for liberation in 1971. In reaction to the remark, students carried out marches late the same night, using “razakar” satirically in their slogans and accusing Hasina of labelling them as such for simply demanding their rights. Ministers and leaders of the ruling Awami League made remarks distorting the protesters’ slogans,

অরাজনৈতিক আন্দোলনের করুণ রাজনৈতিক মূল্য

কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র–ছাত্রীদের আন্দোলনে  কদিন ধরে যা ঘটে চলেছে, তা যেমন বেদনাদায়ক, তেমনই নিন্দনীয় ও ক্ষোভের কারণ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে ক্ষমতাসীন সরকারের সমর্থক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে একইদিনে দেশের তিন জায়গায় ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশে বিরল।  এবার আরও যেসব ঘটনা আমাদের স্তম্ভিত করেছে, অভিভাবকদের চোখ অশ্রুসিক্ত করেছে, এসব মৃত্যুর পরও সরকারের রাজনৈতিক দম্ভ বজায় রাখার চেষ্টা, যা আরও প্রাণহানির কারণ হয়েছে। ছয়জন তরুণের প্রাণ বিসর্জনের পরও কোটা সংস্কারের দাবিতে সরকার ”নীতিগতভাবে একমত” – একথাটি বলে  আলোচনায় না ডেকে সময়ক্ষেপণ করেছে। আইনমন্ত্রী কথাটি যখন বললেন, তার আগেই আরও জীবন গেল, শত শত মানুষ আহত হলো, দেশের সম্পদ নষ্ট হলো। রাজনৈতিক গরিমা ছাড়া এর আর কোনো কারণ আছে কি? ছাত্রলীগ পরিচয়ে অন্ত্রধারীদের তান্ডব, পুলিশের চরম নিষ্ঠুরতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের গড়পরতা মারধর ও লাঞ্চিত করার যে দৃশ্যগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তা কোনো অভিভাবকের পক্ষেই ভোলা সম্ভব নয়। এসব ঘটনার বিবরণ উদ্ধৃত না করে শুধু নিষ্ঠুর শক্তি প্রয়োগে

Is political violence transforming Awami League?

The images that surfaced on online news portals, including this newspaper and social media, showing helmet wearing activists of Chhatra League attacking protesters, including girls, with various deadly weapons and sticks to break student demonstrations at several universities are deeply depressing, outrageous, and deplorable. These demonstrators were demanding reforms to the quota system in civil service recruitment, which was scrapped in 2018 following a similar protest but restored following a judicial ruling. This ruling shocked many young people. The government's appeal against the ruling suggests it also wants a change in the outcome. The latest wave of violence against the protesters follows a public pronouncement by the ruling party's general secretary, Obaidul Quader, that Chhatra League would teach a lesson to those who allegedly undermined the spirit of the war of independence. This allegation centers around distortions, selective quotations, miscommunications, and a

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে অন্য কিছু কি আড়াল হচ্ছে

গত কিছুদিনের সংবাদ শিরোনামগুলো দেখে বা শুনে মনে হয় যে বাংলাদেশে এখন আমের মৌসুম না, কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার মৌসুম চলছে। এগুলো প্রধানত: দুর্নীতির কেলেঙ্কারি। সাবেক পুলিশ প্রধান থেকে শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ড্রাইভার পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ, মধ্যম ও নিম্নস্তরের নানা রকম পদধারীদের দুর্নীতির ফিরিস্তি পড়তে পড়তে আমাদের অনেকেরই হাঁপিয়ে ওঠার দশা।  সাম্প্রতিক মামলাগুলোয় পুলিশের সব স্তরের প্রতিনিধিত্ব আছে। এর পাশাপাশি আছে জেলা প্রশাসক, দায়রা জজ, বন সংরক্ষক, রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা, ব্যাংকার, জেলা রেজিষ্ট্রার, পাসপোর্ট অফিসের ড্রাইভার, চিকিৎসক প্রমুখ। টাকার অঙ্কে তাঁদের দুর্নীতির পরিমাণ কখনো কখনো এতটাই অবিশ্বাস্য যে মনে হয় তাঁরা বোধ হয় টাকার স্তুপেই জীবনযাপন করতেন।এখন অনেকের মনেই কৌতুহল উঁকি দেয়, তাঁদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর যাঁরা, তাঁদের কাছে তাহলে কি এর চেয়েও বেশি নেই?  কারও কারও কাছে যে আছে, তা কিন্তু নির্বাচনের সময়ে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা থেকেই জানা গেছে। একজন এমপির সম্পদ পাঁচ বছরে বেড়েছে ৫৪ গুণ এবং ১৫ বছরে ২ হাজার ৪৩৬ গুণ। পাঁচ বছরে তাঁর স্ত্রীরও সম্পদ

The paradox of whitening black money while fighting corruption

  Bangladesh is often described as a “paradox”; it  excels in crucial social indicators while scoring poorly on the quality of governance. This paradox was evident when two contrasting news stories emerged from the same session of the Jatiya Sangsad on June 29: one about the Prime Minister's vow to crack down on graft, and the other about the retention of amnesty for black money holders. How does one reconcile such contradictions? Has the government redefined corruption by excluding proceeds from illegal transactions, graft, and tax evasion, commonly known as black money? Critics argue that the definition of black money varies depending on who holds it. Black money seems less problematic if the holder is connected to the ruling party. Despite loud proclamations of “zero tolerance,” government efforts rarely make a lasting impact on curbing corruption. Currently, the country is abuzz with complaints about bureaucratic corruption. Previously, there was noise about traders' excess

দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকদের বেলায় জিরো টলারেন্স কই

  দেশে এখন আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে বেশ শোরগোল হচ্ছে। এর আগে কিছুদিন ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা ও সিন্ডিকেট নিয়ে হইচই হয়েছে। কয়েকবছর আগে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কিছু সম্রাটের ক্যাসিনো, জুয়া ও চাঁদাবাজিসূত্রে অর্জিত অবৈধ সম্পদ নিয়েও জিরো টলারেন্সের আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তাঁরা নামে সম্রাট হলেও রাজনীতিতে ছিলেন কার্যত লাঠিয়াল। রাজনৈতিক নেতা হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন, তখনও নেতা হয়ে ওঠেন নি।  গত দেড় দশকে শেয়ারবাজারেও অন্তত: বার তিনেক বড় ধরনের কারসাজিতে হা–হুতাশ শোনা গেছে। নিরীহ বিনিয়োগকারীদের সম্পদ নির্বিঘ্নে লুন্ঠনকারীদের কিছুই হয়নি। ব্যাংকের টাকা ঋণের নামে জালিয়াতি করে আত্মসাতের কাহিনিও কম দিনের নয়। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত  সেই ২০১২ সালে হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির সমালোচনার জবাবে বলেছিলেন, ”এটা কোনো  বড় অঙ্কের অর্থ নয়।” তাঁর কথা তখন অবিশ্বাস্য মনে হলেও এখন যেসব মহাদুর্নীতির অঙ্ক বা তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে তাঁর সেই কথাকে ভুল বা ঠাট্টা মনে করার আর কোনো অবকাশ নেই। কেননা, এখন নিয়ম ভেঙ্গে যেমন ব্যাংক দখল হয়, তেমনি বেনামি ঋণে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার নতুন নত