সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুমের তদন্তের পরিধি নিয়ে বিভ্রান্তি

  ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের পর যে অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সম্ভবত তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাহসী একটি পদক্ষেপ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন। গত দেড় দশকে শত শত পরিবার যে অবর্ণনীয় মানসিক যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, তার একটা জবাব রাষ্ট্রের কাছ থেকে মিলবে বলে এখন অনেকের মধ্যেই আশাবাদ থেরি হয়েছে। দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য এটি খুবই জরুরি একটি পদক্ষেপ হলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠনের যে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত মঙ্গলবার জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে এটি গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিশন আইন, ১৯৫৬ অনুসারে। এই আইনে কমিশন গঠিত হওয়ার ভালো দিক হচ্ছে, তাদের ক্ষমতা আদালতের সমতুল্য। এ কমিশন  কোন ব্যক্তিকে তাদের সামনে উপস্থিতি হতে তলব ও বাধ্য করতে পারবে এবং তাদের জবানবন্দি বা জিজ্ঞাসাবাদ হবে শপথের অধীনে। ​কমিশন যে কোনো নথি চাইতে ও দেখতে পারবে; সাক্ষ্যপ্রমাণের সঙ্গে হলফনামা চাইবে এবং প্রয়োজন হলে সাক্ষী বা নথি পরীক্ষার জন্য যে কোনো জায়গায় যেতে পারবে

সংবিধান স্থগিত চাওয়ার উদ্দেশ্য কী সিইসির

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে যাওয়ার বিষয়টি এখনো মানতে পারছেন না – এমন কেউ আর নেই বলে মনে করা যে ভূল, তার কিছু প্রমাণ আমরা ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছি। এরা শুধু স্বৈরশাসনের মাঠকর্মী বা  দলীয় সদস্য নন, এদের কেউ কেউ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেও আসীন আছেন বলাটা সম্ভবত অন্যায় হবে না। বিচারবিভাগীয় অভ্যূত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কথা এখানে স্মরণ করা যায়। কিন্তু সেটাই শেষ নয়। না হলে স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করার কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের প্রধান হঠাৎ করে সংবিধান লংঘনের আওয়াজ তুলতেন না।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৪ আগস্ট সমকাল–এ এক নিবন্ধে সংবিধান আংশিক অথবা পুরোপুরি স্থগিত রাখার কথা বলেছেন। তিনি অভিযোগের সুরে বলেছেন,’ নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক সংকটে। আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কমিশনের প্রধান হিসেবে পত্রিকায় লিখে জনগণকে অবহিত করাই সমীচীন মনে করছি।” তিনি কী আলোচনা করতে চান, তা যতটুকু খোলাসা করেছেন, তা হচ্ছে, ’বিপ্লবোত্তর এই সময়ে খানিকটা সাংবিধানিক

আন্দোলন বুঝিয়ে দিল ’পরিহাস’ কী

  ’এশিয়ার লৌহমানবী’ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ও বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকা একমাত্র নারী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যূতি ও দেশত্যাগের ঘটনা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল ১৯৮৬ সালে পত্রিকা অফিসের বার্তাকক্ষে।  ফিলিপিনো সামরিক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের পতন ঘটেছিল ছাত্র–গণঅভ্যূত্থানে এবং তাঁকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। নব্বুইয়ের গণঅভ্যূত্থানে উৎখাত হওয়া সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়নি।  গণ–অভ্যূত্থানে নিহত মানুষের সংখ্যা এক শ ছাড়ানোর পর বার্তা সংস্থা ইউএনবির সম্পাদক সায়ান এস খান ফেসবুকে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা উদ্ধৃত করার লোভ সম্বরণ করা কঠিন। তিনি লিখেছেন, ”ওপরে দেখা হলে এরশাদ কী বলবে জানো? ছি: আমাকে দেখ – দুজন মরছে, ছাইড়া দিছি, আর তুমি–––” । এরপর জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ প্রথমে জানাল, এ সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। পরে সেই সংখ্যা ৬৬ ছাড়িয়েছে। পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টায় এত বিপুলসংখ্যক শিশু হত্যা এবং চার শতাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার দায় যখন কোনো রাজনীতিকের পরিচিতিতে স্থায়ী জায়গা করে নেয়, তখন তাকে কী অভিধায় অভিহিত করা যাবে?  প্রথম আলোর

গণমাধ্যম যেভাবে অদৃশ্য প্রভাবমুক্ত গণমাধ্যম হবে

শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন অবসানের ছাত্র–জনতার আন্দোলনে অন্তত তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে  নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অনেক। তবে নিশ্চিত করে কোনো সংখ্যা কোনো কর্তৃপক্ষীয় সূত্র বা সংগঠন এখনও জানাতে পারেনি। সাংবাদিকেরা প্রধানত: পুলিশ ও সরকারসমর্থক অস্ত্রধারীদের হামলার শিকার হয়েছেন। অন্দোলনের সব শহীদ ও আহতদের মতোই সাংবাদিক হত্যা ও জখমের ঘটনাগুলো নিন্দনীয় এবং এগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন। হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও প্রয়োজন।  তবে দু:খজনক অধ্যায় হলো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের লক্ষ্য হয়েছেন। কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার অফিস আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সম্প্রচার ও প্রকাশনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। খুলনায় প্রেসক্লাব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি জায়গায় প্রেসক্লাবে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা হয়েছে। এসব ঘটনা কেন ঘটলো, গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা কেন এসব জায়গা রোষের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো, সেই আত্মজিজ্ঞাসা খুবই জরুরি। পেশাদার ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় ঝুঁকি আছে, এ কথা সত্য। তবে সেই ঝুঁকির কারণ ক্ষমতাধরদের জবাবদিহি আদায়ের চেষ্

How to Ensure Justice for the atrocities committed in the past

  The Awami League regime, which sought global recognition as a model of governance, has ironically left behind a legacy marred by unprecedented brutality against its own citizens. The scale of state violence and repression under Sheikh Hasina’s rule rivals some of the worst autocracies in the world, like Egypt’s Hosni Mubarak. Bangladesh is also a unique example, where a military dictator Gen HM Ershad, succeeded in resettling him in a democratic political framework, but a popular leader who jointly led movement for restoration of democracy, degraded herself turning into a worse dictator.  The recent student led uprising, evolving into a broader civilian insurrection, has been dubbed by some as the "Gen Z Revolution." However, lacking a coherent revolutionary agenda or a well defined path for enacting fundamental change, this movement remains more of a chaotic and prolonged transition towards democracy than a fully fledged revolution. Consequently, the pursuit of justice for

দলীয় রাজনীতি আদালতকে যেখানে নিয়ে গেছে

উপমহাদেশের জনপ্রিয় গণসঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত সলিল চৌধুরী তাঁর গানে গেয়েছিলেন, ’বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা’। তিনি তাঁর ৭০ বছরের জীবদ্দশায় তা দেখে যেতে পেরেছেন কিনা বলতে পারি না। তবে বাঙ্গালি এই শিল্পীর লেখা, সুর দেওয়া ও গাওয়া গানের বাস্তবরুপ আমরা যে দেখতে পেলাম, তা কোনো দিন আমাদের কল্পনাতেও আসেনি। তা–ও এমন এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে ঘটলো, যার দায় রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান শেখ হাসিনার এবং বিচার বিভাগের দিক থেকে সেই সব বিচারপতির, যাঁরা নিজেদের ন্যয়বিচারের প্রতিভূ ভাবার বদলে ’শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ ভাবতে গর্ববোধ করতেন।  আদালতের দলীয়করণ নিয়ে গত দেড় দশকে বহুবার আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা বলেছি। তবে অনেকটাই ভয়ে ভয়ে। কেননা শপথবদ্ধ রাজনীতিক পরিচয় ধারণ করা যে ভূল , এই কথাটি বলার জন্য আমরা জ্যেষ্ঠ্ আইনজীবিদের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার বিচার করতে দেখেছি। এর আগেও আদালতের বিচ্যূতি বা ভূল–ভ্রান্তি নিয়ে লেখালেখি সাংবাদিকতার জন্য বাড়তি ঝুঁকির কারণ হয়েছে, তা–ও লিখেছি। ২০১৯ সালের ১৯ মে প্রথম আলোয় লিখেছিলাম ”সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে আদালত অবমাননার আইন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকে সংবাদ

New Delhi faces the gravest geopolitical fallout from Sheikh Hasina’s exit

 In the hours before Sheikh Hasina fled Gonobhaban, her official residence in Dhaka, on 5 August, Bangladeshi security forces killed scores of protesters who had joined a huge march to the capital demanding an end to her autocratic rule. Around the same time, it has since been reported, Hasina had pressured the army chief to enforce a curfew using deadly force, which would have meant the military joining the bloodbath. The army chief refused. The prime minister’s desperate hold on power finally slipped when security chiefs warned that the advancing protesters would reach Gonobhaban within an hour and they doubted their ability to contain the crowd. Speculation that India, her strongest international ally, would intervene in her favour proved unfounded, and Hasina was left at the mercy of the military, which ultimately facilitated her escape across the border. She wound up at a safe house in Delhi, trying but failing to gain asylum in the United Kingdom. All told, the wee