সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গায়েবি মামলা, ভিন্নমত ও নয়া আইন

পূর্বাণী বা চিত্রালীকোনো এক বিনোদন সাপ্তাহিকে একসময়েহাওয়া থেকে পাওয়ানামে একটি কলাম ছাপা হতো কলামটি ছিল মূলত রুপালি পর্দার আড়ালে বা সিনেমা জগতের বাইরে নায়ক-নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে নানা ধরনের গালগল্প বা শোনা কথার নাটকীয় বিবরণ পাঠকদের নজর কাড়াই ছিল সেসব চটুল হাওয়াই খবরের মূল উদ্দেশ্য
সম্প্রতি খবরে আবার সেইহাওয়া থেকে পাওয়া’–জাতীয় কাহিনিগুলো ফিরে এসেছে তবে এখনকার খবরের চরিত্রগুলো রুপালি পর্দার তারকা নন ছোট পর্দায় তাঁরা সারাক্ষণই আসেন, কখনো খবর হয়ে, কখনো বির্তক করতে তাঁরা যে একেবারে অভিনয় করেন না, তা বলা যাবে না কেননা, তাঁরা সবার সামনে যা বলেন, সব সময়ে তা যে বিশ্বাস করেন বা প্রতিপালন করেন, তা নয় এখনকারহাওয়া থেকে পাওয়াঘটনাবলিতে তাঁদের কোনো কিছুই করতে হয় না কারও সঙ্গে গোপন অভিসারের কোনো প্রশ্নই তো ওঠে না কেননা, এখনকার হাওয়া থেকে পাওয়া খবরগুলো তৈরি করেন কতিপয় অতীব সৃজনশীল পুলিশ কর্তা অবশ্য এর কৃতিত্ব যে তাঁদেরই, তা হলফ করে বলা সম্ভব নয় যেসব রাজনৈতিক নেতার কাছে তাঁদের জবাবদিহি করতে হয়, ধরনের সৃজনশীলতা সেই সব রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের মস্তিষ্কপ্রসূতও হতে পারে
কিছুদিন ধরেই খবর বেরুচ্ছে যে বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের নতুন করে যে ধরপাকড় চলছে, তার অধিকাংশই হচ্ছে গায়েবি অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে গায়েবি মামলা অভিধাটি স্পষ্টতই ব্যবহৃত হয়েছে এটা বোঝাতে যে মামলায় বর্ণিত অপরাধ আদতেই ঘটেছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না এসব মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন কথিত অপরাধের বর্ণিত সময়ে জীবিত ছিলেন না এমন মৃত ব্যক্তি অথবা কথিত অঘটনের সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি হজ পালন করছিলেন (মৃত ব্যক্তিকেও ককটেল ছুড়তে দেখেছে পুলিশ, প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর, ২০১৮) পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হুবহু প্রকাশের মতো গণসংযোগের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে যাঁরা সাংবাদিকতার ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থেকে তথ্যগুলো যাচাই করতে গিয়েছেন, তাঁদের কাছেই আসল সত্যটা ধরা পড়েছে কিন্তু তাতেও সৃজনশীলতার বিকাশ রুদ্ধ হয়নি অতএব, ঢাকায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিনে মগবাজারে নাশকতার মামলায় আসামি হয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবারও কথিত নাশকতার ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় বিএনপির এমন নেতার নাম ঢুকেছে, যিনি ঘটনার দিন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে (আমীর খসরুকে আসামি করে বিব্রত পুলিশ, আমাদের সময়, অক্টোবর, ২০১৮)
গায়েবি মামলায় যে রাজনীতি আছে, তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথায় পুলিশ মামলায় লিখেছে, মগবাজারে হাঙ্গামা হয়েছে কিন্তু তিনি বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নাশকতার ভয়াবহ ছক আঁকছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই বিএনপির নেতাদের নামে মামলা হয়েছে (গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রথম আলো, অক্টোবর, ২০১৮) বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ১৯টি জেলা মহানগরে ৫৮টি গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজার ৭৪০ জন নেতা-কর্মীকে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে হাজার ৭০০ জন নেতা-কর্মীকে বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনের সময় তাদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এসব গায়েবি মামলার আশ্রয় নিচ্ছে সরকার সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর সময় যে হারে বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হয়েছেবিশেষত পুরোনো মামলায়, যেগুলোতে তাঁদের নাম ছিল নাতাতে দলটির আশঙ্কা যে একেবারে অমূলক, সে কথা বলা যাবে না
যাঁরা অতীত অপশাসনের জন্য বিএনপির অভিযোগকে তেমন একটা আমলে নিতে চান না, তাঁরাও যে সব সময়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা নয় এখানে স্মরণ করা যায় যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধূরীর দুর্ভোগের কথা প্রথম মামলায় পুলিশের নথিতে চাঁদাবাজির অভিযোগকারী যিনি, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বললেন যে আসামিকে তিনি চেনেন না, তাঁর কোনো অভিযোগও নেই এরপর আবিষ্কৃত হলো দ্বিতীয় আরেকটি গায়েবি মামলাগাজীপুরে বিস্ফোরক রাখার মামলা আদালত অবশ্য পুলিশের সেই অবিশ্বাস্য সৃজনশীলতা বিশ্বাস করেননি এবং মামলাটি খারিজ হয়েছে মোজাম্মেল হকের ভাগ্য ভালো যে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এবং নাগরিক অধিকারের জন্য কাজ করায় তাঁর পক্ষে সুশীল সমাজের সদস্যরা সরব ছিলেন তবে ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পুলিশের রিমান্ড নামক যন্তর-মন্তরে তাঁকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তার জন্য পুলিশ বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ বা ক্ষতিপূরণ কিছুই দেওয়া হয়নি
এর বিপরীত চিত্রটিও কম ভয়াবহ নয় তথ্য সঠিক হলেও ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার বাইরে তা প্রকাশের জন্য একাধিক অনলাইন পোর্টালের যেসব ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি শুধু ভিন্নমত প্রকাশের জন্য ৫৭ ধারার খড়্গের নিচে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম এখন কারাগারে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন, অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন নেতা একই ধরনের অভিযোগ এবং কথিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির বদলে তাঁর বা তাঁদের সমর্থকদের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে সারা দেশে কতজন সম্পাদক-সাংবাদিক-গবেষককে যে পুলিশি হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা আমাদের সবারই জানা ৫৭ ধারা অপপ্রয়োগের এই যথেচ্ছাচারে নাকাল এবং ক্ষুব্ধ পেশাজীবীদের প্রতিবাদের মুখে তা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন সরকার আরও কঠোর আইন করেছে সরকারের যুক্তি, ‘মিথ্যা সংবাদের কারণে যার ক্ষতি হলো, সেই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে?’ সুতরাং, মানহানি বা অপবাদ থেকে রক্ষাই এই নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের লক্ষ্য
বানোয়াট অভিযোগে পুলিশ যখন কোনো নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তাকে গণমাধ্যমে অপরাধী প্রমাণের জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করে, তখন সেই ব্যক্তির ক্ষতিটা কে পূরণ করবে, সেই প্রশ্নের অবশ্য কোনো জবাব নেই কেননা, পুলিশ ক্ষমতাধরদের অপরাধ উপেক্ষা করে কারণ, সেটা আমলে নেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই কিন্তু গায়েবি মামলার যথেচ্ছাচারে পুলিশের প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাসযোগ্যতা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীরা কেউ গুরুতর অপরাধ করলেও পুলিশের ভাষ্য মানুষ বিশ্বাস না করতে পারে
সরকারসমর্থক বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই নতুন আইনের পক্ষে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ফেসবুকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাস যেভাবে সাইবার হয়রানির শিকার হয়েছেন, তার দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রতিকারের উপায় হিসেবে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণের চেষ্টাও তাঁরা করেছেন লিটন দাসের প্রতি যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তা নিন্দনীয় অপরাধ, সন্দেহ নেই কিন্তু ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের বিধানেই যে এর প্রতিকার সম্ভব, সে সত্যটি তাঁরা আড়াল করছেন ফেসবুকে গুজব বা উড়ো খবর ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার ঘটনা দেশে একাধিকবার ঘটেছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে হামলার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু অপরাধীদের কারও বিচার হয়নি বিষয়টা এমন নয় যে প্রয়োজনীয় আইনের অভাবে ওই জঘন্য অপরাধের বিচার হয়নি, বরং সাক্ষীরা নিরাপত্তার অভাবে সাক্ষ্য না দেওয়ায় মামলাটি অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে কি না, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, মন অপরাধী না হলে উদ্বেগের কিছু নেই এতে বোঝা যায়, সরকার সরকারি দলের বিরুদ্ধে না লিখলে উদ্বেগের কারণ নেই এর মানে, বিরুদ্ধে লিখলেই উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকবে এবং আমরা যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক বিধানগুলোর বিরোধিতা করছি, আমাদের মনঅপরাধীর মন
সরকারবিরোধিতাকে অপরাধ গণ্য করা গণতন্ত্রের ধারণার সঙ্গে মেলে না, সেটা আওয়ামী লীগের কাছে অজানা কোনো বিষয় নয় কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগই এখন সেই চর্চাকে সাইবার জগতে প্রয়োগের আইনগত বৈধতা দেওয়ার পালা সম্পন্ন করছে
( ৬ অক্টোবর, ২০১৮‘র প্রথম আলোয় প্রকাশিত নিবন্ধ।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হব...

How to Describe the Awami League Accurately?

In an article titled ‘How Not to Describe the Awami League’ , published in this paper, British journalist David Bergman rightly underscores the importance of accuracy in labeling a political party—particularly when such labels carry potential legal consequences. Those familiar with Bergman’s work over the years know that he has consistently taken on politically sensitive and controversial subjects, often at significant personal and professional cost. His courage and commitment to journalistic integrity deserve recognition. Bergman is correct in asserting that “while serious criticisms of the Awami League are both valid and necessary, they must be proportionate and grounded in fact.” His analysis focuses primarily on the legal validity and appropriateness of labeling the Awami League as “fascist” or “Nazi.” He argues that comparing the party to the Nazi regime trivialises the scale of Nazi atrocities and misrepresents the complexities of Bangladeshi politics. Indeed, any historical comp...

স্বৈরতন্ত্রের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার নিকৃষ্ট পরিণতি

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথিত মন্তব্যে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণ এবং সম্প্রতি মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতায় পরস্পরবিরোধী মন্তব্য – এই দুইয়ের একটি যে অসত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তাঁর দপ্তর যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা–ও অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশাপূর্ণ। তিনি সর্বশেষ বিবৃতিতেও মতিউর রহমান চৌধুরীকে অসত্য কথা বলার বিষয়টি স্বীকার যেমন করেন নি, তেমনি এমন দাবিও করেননি যে তাঁকে ভূলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।  ৫ আগস্ট যদি তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রশ্নে অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তা খুবই গুরুতর হিসাবে বিবেচিত হতে বাধ্য। কেননা তা ছিল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের তথ্য। আবার যদি তিনি মানবজমিন সম্পাদকের কাছে আলাপচারিতায় অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তাঁর কাছে যে দেশবাসী প্রশ্নের জবাব চাইতে পারে, তা হলো অর্ন্তবর্তী সরকার যখন সবকিছু গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টা চলছে, তখন তিনি কেন এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন? তাঁর উদ্দ...