সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

করোনাকালে বাড়তি মৃত্যুর হিসাব নিয়ে ভাবুন

সরকারি জরিপের ফলাফল যদি খারাপ হয়, সাধারণত তা আর আলোর মুখ দেখে না বলে একটা ধারণা চালু আছে। কিন্তু গেল সপ্তাহে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এমনই এক জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে। জরিপে উঠে আসা তথ্যগুলো ভয়াবহ। তবে, তা নিয়ে কেউ যে খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন, তেমন আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে আগের বছরের মোট মৃত্যুর তুলনায় গত বছরের মৃত্যুর সংখ্যা যে মাত্রায় বেড়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে , তা নিয়ে খুব একটা আলোচনা চোখে পড়ছে না। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে অবশ্য বাড়তি মৃত্যুর আলোচনা বেশ জোরোশোরেই হচ্ছে এবং গবেষকরা সেগুলো বিশ্লেষণ করে কোভিড ১৯ এর সঙ্গে তার সম্পর্ক নির্ধারণ করছেন।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপের তথ্য বলছে, দেশে গত বছরে ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২০২০ সালে ৮৫ হাজার ৩৬০ জন ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৫০২। কিডনি রোগে মৃত্যুহার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।  একইভাবে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও। গত বছর হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন। আগের বছর এ রোগে মারা যান ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন, অর্থাৎ হৃদরোগে মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশের বেশি। একইভাবে ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বেসরকারি জরিপের হিসাবে বেড়েছে আত্মহত্যায় মৃত্যুও এবং বৃদ্ধির হার প্রায় ৪৪ শতাংশ ।

সামান্য যেটুকু ভালো খবর এতে উঠে এসেছে তা হলো, আগেরবছরের মতোই গতবছরেও এইচআইভি বা এইডসে কারও মৃত্যু হয়নি। হাঁপানি রোগেও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। চিকনগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর পরিমাণও নাটকীয়ভাবে কমেছে। তবে, এই তিন-চারটি রোগে মৃত্যু কমলেও স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং ক্যান্সোরে মৃত্যুহার অনেক বেশি হওয়ায় মোট হিসাবে ২০১৯ সালের তুলনায় গতবছরে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার অতিরিক্ত মৃত্যু ঘটেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর এসব হিসাব তিন লাখের বেশি পরিবারের ওপর পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে অনুমতি হিসাবের চিত্র। আসল চিত্রে এ থেকে কম-বেশি তারতম্য হতেও পারে।

সরকারি হিসাবে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত সাড়ে আট হাজারের মতো। চলতি বছরের গত আড়াইমাসের মৃত্যুর হিসাব বাদ দিলে গতবছরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে আরেকটু কমবে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কতজন, তার অবশ্য কোনো সরকারি হিসাব নেই। আর, বেসরকারি হিসাবে তা হাজার দুয়েকের মতো। সব মিলিয়ে করোনার ভয়াবহতা বাংলাদেশ এড়াতে পেরেছে বলেই একটি ধারণা মোটামুটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সব পরিসংখ্যানই বলছে, আপেক্ষিকভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধারণার একটি বিপজ্জনক দিক হচ্ছে, সবার মধ্যে একধরণের ফাঁপা নিরাপত্তাবোধ জেঁকে বসেছে। হৃদরোগে করোনার চেয়ে কুড়ি গুণ বেশি মৃত্যু বা   করোনায় মৃত্যুর চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি ইত্যাদি শিরোনামও এধরণের ভিত্তিহীন নিরাপত্তাবোধ তৈরিতে সহায়ক হয়েছে। যার পরিণতি হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো ‍উপেক্ষা ও সংক্রমণের বিস্তার ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি।

করোনায় মৃত্যুর হিসাব নিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এখন নতুন চিন্তা ক্রমশই জোরালো হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ যেসব দেশে ‍মৃত্যুহার অনেক বেশি, সেসব দেশের সরকারি পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বলা হচ্ছে, সরকারি হিসাবে করোনার আসল ভয়াবহতা যে কত ব্যপক, তা পুরোপুরি বোঝা যায় না। জন্ম ও মৃত্যুর আধুনিক ও উন্নত রেকর্ডপদ্ধতি চালু থাকার পরও এই হিসাবকে অসম্পূর্ণ বা কম বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব কারণ দেখানো হচ্ছে, তা বেশ জোরোলো যুক্তিসম্পন্ন। প্রথমত, কোভিডের কারণে প্রায় সব দেশেই অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত যাঁদের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল, তাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। তাঁদের মৃত্যুর জন্যও কোভিডই পরোক্ষভাবে দায়ী। দ্বিতীয়ত, বিপুল সংখ্যক রোগীর কোভিড নির্ধারণের পরীক্ষাই হয়নি। অথচ, অনেকক্ষেত্রেই কোভিডের কোনো উপসর্গ দৃশ্যমান হয় না এবং কোভিড অনেক রোগের মাত্রা আকস্মিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। তৃতীয়ত, দীর্ঘস্থায়ী কোভিডের শিকার অনেকেই হাসপাতালে সুস্থ হওয়ার বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন, যেগুলো যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত হয়নি। এখনও লাখ লাখ রোগীর গুরুত্বর্পূণ অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা বিলম্বিত হওয়ায় তাদের মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু এসব মৃত্যু সরকারি হিসাবে থাকবে না।

এগুলোর বাইরে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত না হয়েও মারা গেছেন এমন কিছু মৃত্যুর জন্যও পরোক্ষে মহামারিকেই দায়ী করা হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে আত্মহত্যা এবং অপরটি দাম্পত্য কলহের জেরে হত্যা। দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে নি:সঙ্গতা এবং আয়-রোজগার বন্ধ বা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে যে মানসিক সমস্যা তৈরি করেছে, তার পরিণতিতে আশংকাজনক হারে আত্মহত্যা বেড়েছে। বেকারত্ব, আর্থিক সংকট, সন্তানদের লালনপালনের চাপ ও টানাপোড়েনে দাম্পত্যকলহ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়ে পারিবারিক নির্যাতন এবং সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। এগুলো অনেকক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী হয়েছে।  

এই পটভূমিতে বলা হচ্ছে কোভিড মহামারির আসল ভয়াবহতা বোঝার জন্য অতিরিক্ত বা বাড়তি মৃত্যুর হিসাব করা বাঞ্চনীয়। ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই পাঁচ বছরের বছরওয়ারী মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তার গড়ের সঙ্গে  করোনাকালীন বছরের ( প্রথম ৫০টি মৃত্যুর পর থেকে এক বছর পর্যন্ত সময়) মৃত্যুর তুলনা করে বাড়তি মৃত্যুর যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে , সেটাই বাড়তি মৃত্যু। আর, এই বাড়তি মৃত্যুর কারণ কোভিড মহামারি। ব্রিটেনের সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট প্রায় ৭৫টি দেশের বাড়তি মৃত্যুর হিসাব নিয়ে তা বিশ্লেষণ করেছে ( ট্র্যাকিং কোভিড-১৯ এক্সেস ডেথস অ্যাক্রস কান্ট্রিজ) । ৯ মার্চ হালনাগাদ করা হিসাবে অনেক দেশেই বাড়তি মৃত্যু কোভিডের ঘোষিত মুত্যুর চেয়ে বেশি। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডে মুত্যু প্রায় ৪৯ হাজার, কিন্তু বাড়তি মৃত্যু প্রায় এক লাখ সাড়ে ২৮ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডে মৃত্যু প্রায় সাড়ে চার লাখ, কিন্তু বাড়তি মৃত্যু সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। ব্রিটেনে কোভিডে মৃত্যু ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি, আর বাড়তি মৃত্যু এক লাখ ২৪ হাজার। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের হিসাব এই তালিকায় নেই।

সব দেশেই যে বাড়তি মৃত্যু হয়েছে, তা অবশ্য নয়। ডজনখানেক দেশে দেখা যাচ্ছে আগের পাঁচবছরের গড় হারের চেয়ে গত বছর মৃত্যু হয়েছে কম। পত্রিকাটির মতে, সম্ভবত সামাজিক দূরত্ব কার্যকরভাবে অনুসৃত হওয়ায় এসব দেশে সংক্রমণ কম ঘটেছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। সংক্রমণের র্উর্ধ্বগতির সঙ্গে সরাসরি কোভিডে মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়তি মৃত্যুর হারও প্রায় সমান্তরাল গতিতে বেড়েছে বলেই এসব পরিসংখ্যানে প্রমাণ মেলে। মাসওয়ারি হিসাবের বিশ্লেষণেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেখানে গত জানুয়ারিতে যে অতিসংক্রমণশীল এবং মারাত্মক ধরণের কোভিড চিহ্নিত হয়েছে, সেই জানুয়ারিতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। 

বাংলাদেশেও এমন একটি আইন চালু আছে, যাতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তাছাড়া, মৃত্যুর নিবন্ধন ছাড়া ছাড়পত্র বা সার্টিফিকেট মেলার কথা নয়। সবধরণের উত্তরাধিকারের প্রশ্ন নিষ্পত্তিতে এই সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বর্পূণ। সুতরাং, সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম বা বিচ্যূতি ছাড়া সব মৃত্যুর একটা নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান সরকারের কাছে থাকার কথা। জরিপের অনুমিত হিসাব নয়, প্রকৃত নথিবদ্ধ সংখ্যার ভিত্তিতে করোনাকালে মোট মৃত্যুর তথ্য প্রয়োজন। কেননা, মহামারির ক্ষতি কিন্তু এই বাড়তি মৃত্যুর হিসাব ছাড়া অসর্ম্পূণই থেকে যাবে। 

(১৬ মার্চ ২০২১-র প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হব...

How to Describe the Awami League Accurately?

In an article titled ‘How Not to Describe the Awami League’ , published in this paper, British journalist David Bergman rightly underscores the importance of accuracy in labeling a political party—particularly when such labels carry potential legal consequences. Those familiar with Bergman’s work over the years know that he has consistently taken on politically sensitive and controversial subjects, often at significant personal and professional cost. His courage and commitment to journalistic integrity deserve recognition. Bergman is correct in asserting that “while serious criticisms of the Awami League are both valid and necessary, they must be proportionate and grounded in fact.” His analysis focuses primarily on the legal validity and appropriateness of labeling the Awami League as “fascist” or “Nazi.” He argues that comparing the party to the Nazi regime trivialises the scale of Nazi atrocities and misrepresents the complexities of Bangladeshi politics. Indeed, any historical comp...

স্বৈরতন্ত্রের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার নিকৃষ্ট পরিণতি

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথিত মন্তব্যে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণ এবং সম্প্রতি মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতায় পরস্পরবিরোধী মন্তব্য – এই দুইয়ের একটি যে অসত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তাঁর দপ্তর যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা–ও অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশাপূর্ণ। তিনি সর্বশেষ বিবৃতিতেও মতিউর রহমান চৌধুরীকে অসত্য কথা বলার বিষয়টি স্বীকার যেমন করেন নি, তেমনি এমন দাবিও করেননি যে তাঁকে ভূলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।  ৫ আগস্ট যদি তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রশ্নে অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তা খুবই গুরুতর হিসাবে বিবেচিত হতে বাধ্য। কেননা তা ছিল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের তথ্য। আবার যদি তিনি মানবজমিন সম্পাদকের কাছে আলাপচারিতায় অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তাঁর কাছে যে দেশবাসী প্রশ্নের জবাব চাইতে পারে, তা হলো অর্ন্তবর্তী সরকার যখন সবকিছু গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টা চলছে, তখন তিনি কেন এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন? তাঁর উদ্দ...