সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পতাকা বিতর্ক ও দেশ ঢেকে যাওয়া বিজ্ঞাপনের জার্সি

খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকার আবির্ভাব নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে এই বিতর্কে আবেগই সবচেয়ে বড় উপাদান। বাংলাদেশের মাঠে যখন বাংলাদেশ খেলছে, তখন তার প্রতিপক্ষকে কোনো বাংলাদেশি সমর্থন করতে পারে, সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। বিষয়টি নিন্দনীয়। তবে পাকিস্তানি নাগরিক কেউ যদি কাজটি করেন, সেটা নিয়ে উত্তেজিত হওয়া অযৌক্তিক।
আন্তর্জাতিক খেলাধুলার বেলায় অতিথি দলের সমর্থকদের কিছু স্বীকৃত অধিকার আছে এবং সেগুলো না মানার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ এর আগেও বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে বেশ কিছু ম্যাচের আয়োজন করেছিল, যেসব খেলার সময় প্রতিযোগী দেশের নাগরিকেরা এসে তাদের নিজ নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে তাদের দলকে সমর্থন করে গেছে। দ্বিপক্ষীয় সফরেও এমনটিই হয়েছে। কিন্তু কখনো বিতর্ক এতটা ব্যাপকতা পায়নি।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই পতাকা বিতর্কের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনা ছিল তুঙ্গে। মূল সমালোচনা ছিল পাকিস্তান কি দারাজের বিরুদ্ধে খেলছে? নাকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে? কারণ হচ্ছে, সেই মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনের মতো জার্সিতে দেশ ঢেকে যায় স্পনসরের নামে। ক্রিকেট বোর্ডের যে টাকা দরকার, সে কথা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু তাদের অনুপাতবোধ যে লোপ পেয়েছে, অথবা যাদের আদতে তা ছিল না, তারাই যে বোর্ডের কর্তৃত্ব দখল করে বসে আছে, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। তুলনার জন্য পাকিস্তানিদের জার্সি পাশাপাশি দেখলে লজ্জাই পেতে হয়।
পাকিস্তান দলের সফর নিয়ে অনেক কথাই উঠেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে খেলার সূচি কেন ঠিক করা হলো—এমন কথাও অনেকে তুলেছেন। যদিও আন্তর্জাতিক সফরসূচি ঠিক হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল, আইসিসির সভায়, তবু স্বাগতিক দেশের সুবিধা-অসুবিধা যে বিবেচিত হয় না, তা নয়। সব মিলিয়ে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ দর্শক ও সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্ন ও ক্ষোভ অনেক।
সমর্থকদের ক্ষোভের চেয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির ক্ষোভ কোনো অংশেই কম নয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন যিনি, যাঁর সময় টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ, সেই সাবের হোসেন চৌধুরী টি টোয়েন্টির পর টুইট করে বলেছিলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে আমাদের একটা নির্লজ্জ ক্রিকেট বোর্ড আছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘জনাব পাপনের (নাজমুল হাসান) অধীনে বাংলাদেশ এই নিয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলল। পারফরম্যান্স খারাপ থেকে সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। অন্যের ওপর দোষ চাপাতে চাপাতে তিনি (নাজমুল হাসান) আমাদের ক্রিকেটকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন।’
সাধারণ সমর্থকদের ক্ষোভের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বোর্ডের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজে লাগানো। ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ এবং ওডিআই টিমের সাবেক অধিনায়কের বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি থাকা (চাকরিরত) অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন নেওয়া ও নির্বাচন করায় জনমনে ধারণা জন্মায়, ক্রিকেটকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। ক্রিকেট বোর্ডের সাম্প্রতিক নির্বাচন সেই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নানা ধরনের অনিয়ম ও শৃঙ্খলায় ঘাটতির বিষয়গুলোও দৃষ্টিকটুভাবে ক্রিকেটকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ঘরোয়া লিগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগের মতো ইস্যুতে ক্রিকেটের কর্তাদের জবাবদিহির কোনো আলামত মেলেনি। সময়ে সময়ে ক্রিকেটারদের বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, যাতে ইঙ্গিত মেলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্রিকেটারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও পেশাদারত্ব গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এগুলো যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।

ক্ষমতার অপব্যবহার এবং হুমকি-ধমকির মতো আচার যে এ ধরনের পেশাদার খেলাধুলার কতটা ক্ষতি করে, তার সর্বসাম্প্রতিক নজির হচ্ছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। দেশটিতে ক্রিকেট নিয়ে যে তোলপাড় চলছে, তা নজিরবিহীন। প্রায় দুই দশক আগে যখন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ক্রিকেটার নাসের হুসেইন, তখন কেউ কল্পনাও করেননি যে ক্রিকেটে বর্ণবাদ ও বৈষম্য কী ধরনের সুপ্ত ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে মন্টি পানেসার, রবি বোপারা, মঈন আলী ও আদিল রশিদের মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডের হয়ে যখন তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, তখন তাঁরাও কেউ বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলেননি। কিন্তু ক্রিকেটার আজিম রফিক তাঁর ভোগান্তি ও অপমানের কথা প্রকাশ করার পর থেকে বর্ণবাদের বিষয়টি পুরো ব্রিটিশ সমাজের বর্ণবাদ, ইসলামভীতি ও বিভাজনের প্রশ্নে অনেক বড় বিতর্কের সূচনা করেছে। আজিম রফিক যে জাতিগত নিগ্রহের শিকার হয়েছেন, তা যে একটি অমানবিক উপহাস, সে কথা এখন সবাই স্বীকার করছেন।ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্লাবে আজিম রফিক তাঁর বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার পরও ক্লাব কর্মকর্তারা প্রথমে তা গায়ে মাখেননি। পরে একটা তদন্ত করালেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গণমাধ্যমে এ অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর রাজনীতিকেরা বিষয়টি আর উপেক্ষা করতে পারেননি। ১৬ নভেম্বর পার্লামেন্টের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, মিডিয়া ও খেলাধুলাবিষয়ক স্থায়ী কমিটি এক শুনানি গ্রহণ করে, যেখানে আজিম রফিক অভিযোগ করেন যে পুরো ইংলিশ ক্রিকেটই ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী’। ইয়র্কশায়ার ক্লাবের তদন্তে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরিণতিতেই বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে চলে আসে।
ইসিবি অবশেষে স্বীকার করে নেয় যে বর্ণবাদ ও বৈষম্য তাদের খেলার জন্য একটি কলঙ্কের বিষয় হয়ে আছে এবং তারা নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছে। জরুরি এক বৈঠকের পরে একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, আজিম রফিক আমাদের খেলার যেদিক তুলে ধরেছেন, তা তাদের সবাইকে হতবাক, লজ্জিত ও দুঃখিত করেছে।
ক্রিকেটে বর্ণবাদ কেলেঙ্কারির পটভূমিতে ৯ নভেম্বর ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেট, আইসিইসি বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের সম্ভাব্য শিকার ভুক্তভোগীদের প্রমাণসহ এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায় যে মাত্র দিন দশেকের মধ্যেই এক হাজারেরও বেশি লোক কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ ছাড়া কিছু ভয়াবহ পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডে, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটে ব্রিটিশ-এশীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের হার হচ্ছে ৩০ শতাংশ। অথচ পেশাদার স্তরে তাদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৪ শতাংশ। আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটারদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সাবেক ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্য, যা সমালোচকদের মতে প্রতিভার পরিবর্তে খেলায় অভিজাত গোষ্ঠীর প্রাধান্য বজায় রাখার প্রমাণ। নাসের হুসেইন এখন বলছেন যে বর্ণবাদের সমস্যাটি ইয়র্কশায়ারের চেয়েও অনেক বেশি বিস্তৃত। ডেইলি মেইল পত্রিকায় অতীতের নীরবতার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন, ‘এটি করা হয়নি, কারণ তা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর মতে, ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়েছে এটা মানতে যে এগুলোর সঙ্গে তাদের মানিয়ে নিতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।

বর্ণবাদ নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটে চলমান ঝড়ে প্রমাণিত হয়েছে ক্রিকেটাররা নিগৃহীত হলেও তাঁদের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা এবং জায়গা ছিল না। ক্রিকেটের ক্ষমতাধর কর্তাদের জবাবদিহির অভাব ছিল প্রকট। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের দেশে বর্ণবাদের লেশমাত্র নেই। কিন্তু ক্রিকেট কর্তাদের যে কোনো জবাবদিহি নেই, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। ক্রিকেটারদের প্রকাশ্যে হেয় করা এবং রাজনৈতিক দলীয়করণের অভিযোগ কোনোভাবেই উপেক্ষণীয় নয়। নতুন ক্রিকেটার তৈরিতে ব্যর্থতারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরাও কি ইংল্যান্ডের মতো বড় কোনো ঝড়ের জন্য অপেক্ষায় থাকব?
(২৫ নভেম্বর, ২০২১ প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে স্বৈরশাসকের ফেরা সহজ

  গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যর্থতা ও স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রুপ প্রত্যক্ষ করার পর অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদকালে যে সব বিষয়ে সংস্কারের আলোপ চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের পতনের পর নির্বাচনকে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যম হিসাবে যেভাবে প্রতিষ্ঠার কথা ছিল, তা থেকে প্রধান দুই দলই বিচ্যূত হয়েছিল। পরিণতিতে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা দখলের হিংসাত্মক খেলায় পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নির্বাচনকে নানা রকম প্রহসনে পরিণত করে।  এই সমস্যার এক অতি সরলীকৃত সমাধান হিসাবে বলা হচ্ছে, দ্বিদলীয় রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।  সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচনে একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে তারা সংসদের আসন পাবে। এ আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নাম দল আগাম ঘোষণা করতেও পারে, আবার না–ও পারে। নাম প্রকাশ করা হলে সেটা হব...

How to Describe the Awami League Accurately?

In an article titled ‘How Not to Describe the Awami League’ , published in this paper, British journalist David Bergman rightly underscores the importance of accuracy in labeling a political party—particularly when such labels carry potential legal consequences. Those familiar with Bergman’s work over the years know that he has consistently taken on politically sensitive and controversial subjects, often at significant personal and professional cost. His courage and commitment to journalistic integrity deserve recognition. Bergman is correct in asserting that “while serious criticisms of the Awami League are both valid and necessary, they must be proportionate and grounded in fact.” His analysis focuses primarily on the legal validity and appropriateness of labeling the Awami League as “fascist” or “Nazi.” He argues that comparing the party to the Nazi regime trivialises the scale of Nazi atrocities and misrepresents the complexities of Bangladeshi politics. Indeed, any historical comp...

স্বৈরতন্ত্রের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার নিকৃষ্ট পরিণতি

ছাত্র–জনতার অভ্যূত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথিত মন্তব্যে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণ এবং সম্প্রতি মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতায় পরস্পরবিরোধী মন্তব্য – এই দুইয়ের একটি যে অসত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তাঁর দপ্তর যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা–ও অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশাপূর্ণ। তিনি সর্বশেষ বিবৃতিতেও মতিউর রহমান চৌধুরীকে অসত্য কথা বলার বিষয়টি স্বীকার যেমন করেন নি, তেমনি এমন দাবিও করেননি যে তাঁকে ভূলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।  ৫ আগস্ট যদি তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রশ্নে অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তা খুবই গুরুতর হিসাবে বিবেচিত হতে বাধ্য। কেননা তা ছিল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের তথ্য। আবার যদি তিনি মানবজমিন সম্পাদকের কাছে আলাপচারিতায় অসত্য বলে থাকেন, তাহলে তাঁর কাছে যে দেশবাসী প্রশ্নের জবাব চাইতে পারে, তা হলো অর্ন্তবর্তী সরকার যখন সবকিছু গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টা চলছে, তখন তিনি কেন এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন? তাঁর উদ্দ...