সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নির্বাচনে আস্থা ধ্বংসের দায় নিয়ে বিতর্ক

আজ ‘ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ‘ পালন করছে আওয়ামী লীগ। যদিও ডিসেম্বর মাসে একটিই বিজয় দিবসের কথা সারা বিশ্ব জানে, যেটি বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবসে উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং দেশবাসীকে অভিনন্দনও জানিয়ে থাকেন। কিন্তু, গণতন্ত্রের কথিত বিজয় দিবসের কোনো স্বীকৃতির কথা আজ অবধি শুনিনি। গতবছর আওয়ামী লীগ প্রথম এই দিবসটি পালন করেন। তবে, ৩১ ডিসেম্বরের খবরের কাগজে গতবছরের ৩০ ডিসেম্বরের যে ছবি দেখা যায়, তা এমন গণতন্ত্র যেখানে বামজোটের কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাঁদের পেটানো হয়, আহত হন অন্তত ৪৫ জন। বামজোট ‘ গণতন্ত্রের কালো দিবস ‘ পালনের চেষ্টা করায় তাঁদের এই পরিণতি। আর, বিএনপি যে ‘ গণতন্ত্র হত্যা দিবস ‘ পালন করতে চেয়েছিল, পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি, তারা সমাবেশও করতে পারেনি। ভোটের অধিকার হারানোর পর মতপ্রকাশের অধিকার হারানোকে যদি গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবে উদযাপন করা হয়, ক্ষমতার দাপটে তা হতেই পারে। কিন্তু, এসব আয়োজনে সত্য নাকচ হয়ে যায় না। দুই বছর আগে নি...

After a no deal scare, Brexit is finally over

It's finally over. On Christmas Eve, when exhaustion from long haggling was about to set in, the British Prime Minister Boris Johnson declared, "We have taken back control of our laws and our destiny". His counterpart, the European Commission President, Ursula von der Leyen announced,  " It's time to leave Brexit behind". These two near simultaneous announcements came following a free-trade agreement that took almost a year to finalise. The deal makes Britain a third country like any other outside the European Union, but grants tariff and quota-free access to the USD 668 billion single market. But, claiming sovereignty has a cost and Britain had to agree to a mechanism, with arbitration and possible tariffs for violations that would keep its regulations and subsidies roughly in line with those of Brussels, to prevent unfair competition. The deal will require inspection of goods to prevent smuggling, especially of live animals. The deal also covers many cruci...

যেসব সংকট থেকে সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে হবে

বছরের প্রায় শুরু থেকেই চারিদিকে দু:সংবাদ। অধিকাংশই মুঠোফোনে। সংবাদপত্রের অনলাইন, খবরের পোর্টাল, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, সাধারণ বার্তা, টেলিফোন – সব মাধ্যমেই এই দু:সংবাদের ছড়াছড়ি। আধুনিককালের মুঠোফোনের পর্দায় আঙ্গুল ঠেলেই এসব মন খারাপের খবর মেলে, কিন্তু আঙ্গুল ঠেলার অভ্যাস তো কেউ ছাড়ি না। দু:সংবাদের স্রোতে সাঁতার কাটার এই অভ্যাসকে এখন বলা হচ্ছে ডুমস্ক্রলিং বা ডুমসার্ফিং। চলতিবছরেই এই শব্দ দুটির আর্বিভাব এবং বিস্তারলাভ ঘটেছে। অভিধানপ্রণেতারা এখনও তা অভিধানে যোগ করেন নি, তবে মেরিয়াম ওয়েবস্টার বলছে তারা এই শব্দগুলোর ওপর নজর রাখছে। নিউজিল্যান্ড অবশ্য গেল সপ্তাহে এই বিশেষণকেই ২০২০ ‘ র শব্দ ( ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার) ঘোষণা করেছে। আমাদের জন্য, অর্থাৎ সংবাদমাধ্যমের জন্য দু:সংবাদ হচ্ছে এই দূর্ভাগ্যই যেন এখন স্থায়ী হতে চলেছে। সাংবাদিকতার জন্য সম্ভবত ২০২০ হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ বছর। জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা, ইউনেসকোর হিসাবে চলতিবছরে ৫৯ জন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে চারজন নারীও আছেন। বাংলাদেশও বাদ যায়নি, প্রাণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ...

যুক্তরাজ্যের নিয়তি নিজেদের হাতেই, তবে ঝুঁকিমুক্ত নয়

  বড়দিনের প্রাক্কালে , দীর্ঘ দর - কষাকষির ক্লান্তি যখন সবাইকে পেয়ে বসতে যাচ্ছিল , তখনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করলেন , ‘ আমরা আমাদের আইন এবং আমাদের নিয়তির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নিয়েছি । ’ অপর পক্ষে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েনের ঘোষণা , ‘ এখন ব্রেক্সিটকে পেছনে ফেলে আসার সময় এসেছে । ’ প্রায় এক বছরের দর - কষাকষির পর যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ( ইইউ ) মধ্যে যে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে , তার খুঁটিনাটি বুঝে ওঠা সময়ের ব্যাপার । প্রায় আড়াই হাজার পৃষ্ঠার এই চুক্তি ইউরোপের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যব্যবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিশ্চয়তা দিলেও এটি হচ্ছে মূলত মন্দের ভালো । অন্য কথায় , যেকোনো চুক্তিই চুক্তিহীন বিচ্ছেদের চেয়ে ভালো । এই চুক্তি যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে যেকোনো দেশের মতো তৃতীয় দেশে পরিণত করেছে । তবে তা ইউরোপের একক বাজারে শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের কারণে ৬৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বার্ষিক বাণিজ্যের সুযোগ নিশ্চিত ...