সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইভিএমে কেন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার

`তখন চিঠিতে ইসি যা বলেছিল, এখন বলছে ঠিক তার তার উল্টোটা` শিরোনামে গত ২১ জুনের প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে কমিশন এলাকা ছাড়তে বলেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০ জুন সাংবাদিকদের বলেছেন, `` তাঁকে আমরা স্থান ত্যাগ করতে বলতে পারি না এবং বলি নাই। কাজেই তিনি কোনো কিছু ভঙ্গ করেননি। আমরাও ব্যর্থ হইনি।`` আলোচিত নির্বাচন হয়ে যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর তাঁর কাছ থেকে এই ব্যাখ্যা মিলেছে। গন্ডারকে সুড়সুড়ি দেওয়ার পর কত দিনে তার হাসি পায় সেই প্রশ্ন না হয় উড়িয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনোত্তর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে তৈরি হওয়া প্রশ্নগুলো তো উপেক্ষণীয় নয়।  সিইসির এই বক্তব্য থেকে অন্তত তিনটি গুরুতর প্রশ্ন উঠছে - ১. একজন সংসদ সদস্যকে যদি সুষ্ঠূ নির্বাচনের প্রয়োজনে কমিশন `স্থান ত্যাগ করতে বলতে` না পারে তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময়ে বাকি ৩৪৯ জন সংসদ সদস্যকে তাঁরা কোনো নির্দেশ দিতে পারবেন কীভাবে? এঁদের মধ্যে তো মন্ত্রীও থাকবেন। প্রতিদ্বন্দিতপূর্ণ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল বা কেন্দ্রে বেআইনি  অব...

How the politicisation of courts and judgements weakens democracy

Two verdicts in two different countries, located thousands of miles apart, by the respective supreme courts last week have stoked a serious debate about the role of the judges and politicisation of the judiciary. Both these countries are known to be models of democracies - one for unfettered freedom of speech and the other for the vast number of its constituents. Both these verdicts have huge implications on the future of democracy beyond their borders, as the disputes involved religion and politics.   One of these two verdicts was in the United States. A nearly 50-year-old ruling which had given women reproductive freedom was reversed, which has shocked the majority and drawn criticism from world leaders, but bolstered American conservatives and anti-abortion Christian faith groups. The appointment process of the US Supreme Court justices is known for its notorious political exercises.  The other verdict was in India, in which the Supreme Court has not only given the Pri...

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব নয়, প্রেস কাউন্সিল বদলান

দেশের একটি বড় অংশ যখন মারাত্মক বন্যার দূর্যোগে পীড়িত এবং সবার নজর দূর্গতদের উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে, ঠিক তখনই হঠাৎ সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য আইন সংশোধনকে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম অবশ্য গত সপ্তাহে বলেছিলে, মন্ত্রিসভার পরবর্তী সভায় আইনটি অনুমোদিত হবে। তখন তিনি আরো বলেছিলেন, আইনে সাংবাদিকেরা অন্যায় করলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকছে। তাঁর এই বক্তব্যের পরদিন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন নতুন আইন হছে না। তবে তারও আগে ১০ এপ্রিল (ডেইলি স্টার) তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা পাচ্ছে প্রেস কাউন্সিল। বর্তমান প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ সংশোধনের উদ্যোগ শুধু সমর্থন করেছেন তা-ই নয়, তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলের আগের কমিটিগুলোতেও আলোচনা হয়েছে। একসময়ের ইউনিয়ন নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বর্তমানে, দ্য ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং টিভি চ্যানেল ডিবিসি নিউজের মালিক। তিনি আগেও প্রেস...

Mizanur’s unacknowledged detention

  Well-known civic rights activist Mizanur Rahman’s narration of his harrowing experience of being picked-up by police and tortured under custody, published in this newspaper’s online version on June 15, gives us some disturbing snapshots of unlawful actions of our law enforcement agencies. As a keen follower of developments related to human rights, I am reminded of the term used by the Committee on Torture (CAT) of the United nations for these kind of arbitrary and unlawful abductions by the members of law enforcing agencies. It's called “unacknowledged detentions.” Though Mizanur’s four-and-a-half hours-long unacknowledged detention came to an end to the relief of his family, the pains and psychological distress he suffered would no doubt stay with him forever.  Is this unacknowledged detention of Mizanur an exception or deviation in policing practices? Unfortunately, recent trends suggest it has become a preferred tactic to bypass the mandatory legal requirement of producin...

`অধিকার`-এর অধিকার হরণে অবিশ্বাস্য যুক্তি

বাংলাদেশ সরকার দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন `অধিকার`-এর নিবন্ধন নবায়নে অস্বীকৃতি জানানোর পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে। ইনফরমেশন নোট নামে ৮ জুন পাঠানো এ ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিকারের আবেদনের কথিত কিছু ত্রুটি ও অতীত কার্যক্রমের `বিভিন্ন অনিয়ম` এর তালিকা তুলে ধরেছে, যাকে সংগঠনটির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগের ফিরিস্তিও বলা যায়। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন নবায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় ৫ জুন এবং মাত্র তিনদিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিসরে যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়, ধারণা করা অন্যায় হবে না যে তার মাত্রা উপলব্ধি করে সরকার এ ব্যাখ্যা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলে রাখা দরকার, এ ধরনের পদক্ষেপ মোটেও স্বাভাবিক কিছু নয়।  ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ও তার পরের বছরে সরকারের রেজিস্ট্রেশন পাওয়া বেসরকারি সংগঠন অধিকারের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নবায়নের আবেদনটি ২০১৪ সালের। কিন্তু তার অনুমতি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আট বছর পর। সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে অধিকার তার আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার তিন বছর পর, যখন দীর্ঘ নীরবতার...

Odhikar’s deregistration: Unacceptable rationale

When Bangladesh needs to prove that it has been listening to the concern about respecting human rights and uphold rule of law, it has done quite the opposite. The reactions coming from the United Nations’ human rights body, Office of the High Commissioner of Human Rights (OHCHR) and other international rights groups to the deregistration of Odhikar, a leading human rights organisation in Bangladesh, make it clear that no one believes this action is anything other than a punishment for the work it does. The refusal to renew Odhikar’s operating licence follows a letter sent to the OHCHR on May 12, in which the government accused the organisation of ‘disproportionate bias and prejudice against Bangladesh, in particular the ruling party Awami League’ and argued that the UN human rights mechanism should disqualify and shun it as a source of information.  The letter was written as an official response to a joint urgent appeal issued by the Working Group on Enforced Disappearances, the Wo...

লোভস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কী হবে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডকে প্রায় আশি ঘন্টা অগ্নিকুন্ডে পরিণত করেছিল যে দূর্ঘটনা, তার প্রাথমিক একটি কারণ হচ্ছে বিএম কনটেইনার ডিপোতে যে বিপজ্জনক দাহ্য রাসায়নিক দ্রব্য মজুত ছিল, তার কথা দমকলবাহিনীর সদস্যদের শুরুতেই জানানো হয়নি। তথ্যটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন। অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যরা যদি তা জানতেন, তাহলে আগুন নেভাতে সেখানে পানি না ছিটিয়ে প্রয়োজনীয় ফোম ব্যবহার করতেন। তাঁরা ওই আগুন নেভানোর অভিযানে বিশেষধরণের পোশাক পরে যেতেন। এসব সাবধানতা মেনে কাজ করলে তাঁদের এরকম নির্মম মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতো। কনটেইনার ডিপোতে দাহ্য রাসায়নিক দ্রব্যের মজুতের কথা অগ্নিনির্বাপকদের জানানোর কাজটি করা সম্ভব ছিল শুধু তাঁদের পক্ষে যাঁরা বিষয়টি জানতেন। অভিযোগ উঠেছে আগুন লাগার পর সেই রাতে মালিকপক্ষ অর্থাৎ কোম্পানির পরিচালকদের কেউ সেখানে যান নি। এই তথ্যগুলো কি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার কারণে হত্যার অভিযোগ তোলার জন্য যথেষ্ট নয়?   ডাচ-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কোম্পানির পরিচালনাধীন কনটেইনার ডিপোতে যে দাহ্যপদার্থ মজুত ছিল তা যাঁদের জানার কথা, তাঁরা হলেন ...

A story for all the wrong reasons

  On May 31, our diplomat-in-chief, foreign minister A K A Momen sent a message to diplomatic correspondents in Dhaka suggesting what questions they should ask the US ambassador. By the time his message was transmitted to journalists, the US ambassador’s press event, DCAB Talk was over, and the minister’s note ended up as a story itself instead. It couldn’t be ascertained whether the message was a government advisory or a tutorial note as there was no official explanation about it following the publication of the story.  It was a story for all the wrong reasons. Contents of his note suggest that he was unhappy, perhaps angry, too - at the US ambassador’s public comments on the state of democracy, human rights, press freedom and sanctions on RAB. He wrote, “Please, you (newsmen) ask the US envoy why they cannot stop such extra judicial killings in their own country? Secondly, about 100,000 US citizens go missing every year. Even children are deprived of reuniting with their His...

ইভিএম, স্মৃতিভ্রম রোগ ও ডাকাত প্রসঙ্গ

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর চমকপ্রদ এক স্বীকারোক্তি মিলেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের মুখ থেকে। তিনি তাঁর সহযোগী কমিশনার আনিছুর রহমানের `কিছুটা স্মৃতিভ্রমের` কথা বলেছেন। ইভিএমের ভুলত্রুটি ধরতে পারলে এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাকে উদ্ভট অভিহিত করে তিনি দাবি করেন, এ ধরনের উদ্ভট কথা তিনি (সিইসি) বলতেই পারেন না। ক্ষমতাসীন জোটের বাইরে অধিকাংশ দলের বর্জনপীড়িত বাছাইপ্রক্রিয়ায় মনোনীত নতুন কমিশন কোনো নির্বাচন পরিচালনার আগেই ধরা পড়ল যে তাঁদের অন্ততঃ একজন `কিছুটা স্মৃতিভ্রম` রোগে ভুগছেন। স্মৃতিভ্রম রোগ সাধারণত ডিমেনশিয়া নামে পরিচিত এবং এমন গুরুতর রোগে আক্রান্ত কারো পক্ষে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন সম্ভব কি না, এ প্রশ্ন হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই।   ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর যা বলেছিলেন, তাকে সিইসি আউয়াল ছাড়া আর কেউ স্মৃতিবিভ্রমজনিত বলেছেন বলে শুনিনি। ২১ মে মাদারীপুরে ভোটার হালনাগাদকরণ বিষয়ক এক সভায় তিনি যা বলেছিলেন, তা একটু দেখে নেওয়া যাক। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, ‘আমাদের ইভিএম মেশিনের মতো সেরা মেশিন পৃথিবীর ক...