সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টিকা শুধু কেনা নয়, উৎপাদনেরও উদ্যোগ চাই

কোভিড মহামারির বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন সম্ভাব্য চার থেকে পাঁচটি টিকার কার্যকারিতার সাফল্য উদযাপন করছে, তখন সবার মনেই যে সহজ প্রশ্নটি জন্ম নিচ্ছে, তা হচ্ছে, কবে এটি আমার কাজে আসবে? ইউরোপ এবং আমেরিকায় জনপ্রত্যাশা ক্রমশই জোরালো হচ্ছে যে চলতিবছরেই এটি পাওয়া যাবে। কিন্তু, উন্নয়নশীল দেশগুলো কি একইভাবে আশাবাদী হতে পারে ? নিষ্ঠুর সত্য হচ্ছে, না। সেটা হবে অবাস্তব প্রত্যাশা। এখনও পর্যন্ত যে কোনো ন্যায়সঙ্গত বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, এই টিকার বিলিবন্টনে তা আবারও প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। বস্তুত: জি ২০-র শীর্ষসম্মেলনে কোভিড মহামারি মোকাবিলা ও টিকার সুষম বন্টনের আলোচনার সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গলফ খেলায় মগ্ন ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। টিকা কেনার প্রতিযোগিতায় তাঁর দেশই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। ব্যাক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার সামগ্রী ও সরঞ্জাম এবং জীবনরক্ষাকারী জরুরি চিকিৎসার ওষুধপত্র কেনার বেলাতেও তেমনটিই ঘটেছিল।           আশার কথা হচ্ছে, যে টিকাটি জনতার টিকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো, অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত ...

Covid vaccines again expose global inequity

  Each time we learn about a potential Covid vaccine, there is jubilation throughout the globe. Perhaps, the most widely and closely tracked things in the world now are the most promising vaccines. Though the Oxford-led consortium had an early advantage in the race to finding an effective vaccine for convenient mass-immunisation, now it seems that Pfizer and Moderna have overtaken them. Whoever succeeds in the race deserves our appreciation and support. Accordingly, both Pfizer and Moderna have received global plaudit. There are about a dozen potential vaccines in the final stages of testing, known as phase three. But, the initial euphoria over Pfizer and Moderna's success is unlikely to last long, particularly in the developing world. Until and unless we hear about other potential vaccines succeeding, a grim future awaits billions of people.   Vaccines developed by both Pfizer and Moderna have being described as game changers. Trial data released by Pfizer shows that the...

জনপ্রশাসন : জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে সমস্যা কোথায়

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল টিআইবির সমীক্ষা অনযায়ী মহামারির সময়েও দেশের সবচেয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষের কাছে সরকারের আর্থিক সহায়তা পৌছায়নি। প্রশাসনের ব্যর্থতাই যে এর প্রধান কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশাসনের সর্বনিম্ন পর্যায় উপজেলা থেকে সাহায্য যাঁদের প্রাপ্য তাঁদের তালিকা হয়েছে এবং তা জেলা প্রশাসকরা যাচাই করেছেন। কিন্তু, তারপরও দেখা গেছে তালিকায় গোলমাল। র্দূদশাগ্রস্ত লোকজনের কাছে যাতে নগদ সহায়তা পৌঁছানো যায়, সেজন্যে সচিবদের সুপার-ডিসি বা জেলা গর্ভণরের মতো বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হলেও গত ছয়মাসেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অথচ, আমাদের প্রশাসন নাকি জনমূখী। সংকটের কালে জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে না পারলেও প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের বেতন-ভাতা কিম্বা সুযোগ-সুবিধায় কিন্তু কোনো কাটছাঁট হয়নি, সেজন্যে সরকারের সম্পদেও টান পড়েনি। মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানোয় প্রশাসনের সমস্যাটা কোথায়? প্রশ্নটা গুরুত্বর্পূণ। সেকারণে, এবিষয়ে নানাধরণের গবেষণা এবং সংস্কারও হয়েছে। অতীতের থানা পরিষদ হয়েছে উপজেলা পরিষদ, যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ ভূমিকা আলাদা করে ঠিক করে দেওয়া হয়...

Hefajat: All change?

The identity of the Hefajat-e-Islam’s new leadership was in the end no surprise. The two leaders below the late Allama Shafi and his son graduated to the top rungs of the ladder. Maulana Junaid Babunagari, who was the secretary general, got elevated to the position of amir and Maulana Nur Hossain Kashemi, the naib-e-amir, moved up to the office of the secretary general. The decisions were made and announced at the 15-member Shura council which was held at Al-Jamiatul Ahlia Darul Ulum Moinul Islam madrasa, better known as Hathazari Madrasa, which is the main bastion of the Kawami movement. Overseen by late Allama Shafi, the Hathazari madrasa remained the centre point of the Kawami movement representing thousands of unregulated Kawami madrasas of the country. Allama Shafi, prior to his death, lost his control over the Hathazari madrasa following a power struggle between two rival factions that forced out his youngest son Maulana Anas Madani and his associates. More interesting is the nat...

যুক্তরাষ্ট্র: মানবাধিকার রেকর্ড ও বাইডেনের নীতি

নির্বাচনের পরাজয় মানতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অস্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক টানাপোড়েনের দিকে যখন সবার নজর, ঠিক তখনই ১১০টি দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতিসংঘ ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় অনেক অস্বস্তিকর পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। অবশ্য, সেদিকে সংবাদমাধ্যমের খুব একটা দৃষ্টি পড়েনি। ৯ নভেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে দেশটির এই সর্বজনীন পর্যালোচনা বা ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বর্ণের ভিত্তিতে কাঠামোগত বৈষম্যের বিষয়টি। বর্ণ, ধর্ম এবং নারী-পুরুষভেদে বৈষম্য, বিদ্বেষসৃষ্টিকারী বক্তব্য প্রচার, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সহিংসতা এবং অভিবাসীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য এই পর্যালোচনায় দেশটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার, বিক্ষোভ দমনে পুলিশের শক্তিপ্রয়োগ এবং সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরির বিষয়গুলোও বাদ যায়নি। এই ফোরামে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা কথিত সন্ত্রাসবিরোধী বৈশ্বিক লড়াইয়ের সময়ে মানবাধিকার ও মানবিক আইনগুলো লংঘনের প্রশ্নে দায়মুক্তির অবসান ...

Anti-France protests: Islamist muscle flexing

  In recent weeks Bangladesh was back in the international headlines due to large demonstrations organised by a number of Islamist groups protesting the French President Emmanuel Macron’s stance on the right to publish cartoons of the Prophet Muhammad. According to the police 50,000 people attended the protests as they tried to reach the French embassy in Dhaka, while organisers claimed there were more than 100,000 protestors. What we do know is that the march was two kilometres long. Macron’s comment that Islam was “in crisis” and his defence of the “offensive” caricature, which Muslims say is an insult to their prophet, has prompted a global backlash, with many Muslims across the world holding protests and calling for a boycott of French products. The march in Bangladesh which ignored coronavirus social distancing rules carried effigies of Macron. The current secretary general of Hefajat, speaking as the main speaker at the rally demanded closure of the French embassy in Dhaka wi...

ইউরোপ আশান্বিত: বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জলবায়ু

  আমেরিকার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস জুটির বিজয় নানা কারণে ঐতিহাসিক , সন্দেহ নেই । বাইডেনের বিজয়কে কেউ কেউ পৃথিবীর যন্ত্রণামুক্তির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন , এর ফলে বিশ্ব উজ্জীবিত বোধ করছে । ‘ ফ্রম এগনি টু ইলেশন : দ্য ইলেকশন দ্যাট হ্যাজ ট্রান্সফিক্সড দা ওয়ার্ল্ড ’ ছিল গার্ডিয়ানের তাৎক্ষণিক শিরোনাম । নির্বাচন নিয়ে যে ধরনের আশঙ্কা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল , তা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে । এতে দেশটির গণতন্ত্রের শক্তিমত্তা প্রমাণিত হওয়ায় পাশ্চাত্যের দেশগুলো স্বস্তি ফিরে পেয়েছে । এই স্বস্তিবোধের কারণ প্রধানত দুটি : ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে বিশ্ব ব্যবস্থায় ট্রাম্পের বিঘ্ন সৃষ্টির অবসান ঘটবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এমন একজনের হাতে পড়ছে যাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি সম্ভবত সবচেয়ে সমৃদ্ধ । তিনি আট বছর ভাইস - প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অতীতে সিনেটেও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন । আমেরিকায় সরকার বদলায় , বিদেশনীতি বদলায় না বলে যে ধারণা চালু আছে ,...